জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ : পর্যটনমন্ত্রী
বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় চার শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এক দশমিক ৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আ ফ ম বাহাউদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে সরকারি আদেশে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। জানুয়ারি ১৯৭৩ থেকে এ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি যাত্রা শুরু করে। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি রূপময় বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনাগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পরিচিতি, প্রচার এবং পর্যটন সেবা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় চার শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রায় এক দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বময় করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত। করোনা অতিমারি সময়কালীন সময়েও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও আনুতোষিক পরিশোধ করেছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বর্তমানেও তার লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে। সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে পরিচালিত সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
মন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, কক্সবাজার, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রি শপ) স্থাপন করেছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে, যা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে।