অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অটোরিকশাচালক সোহেল ওরফে বদর খন্দকার হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেক আসামিকে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু নাসের মো. ফারুক সঞ্জু এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামের মো. কাজল (৩৪), ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. জুয়েল মিয়া (২৫), ছনহুরা গ্রামের মো. রাব্বানী (২৬) এবং একই এলকার মো. লিটন মিয়া (২৬)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড় এলাকা থেকে সোহেল ওরফে বদর খন্দকারের অটোরিকশা ভাড়া করেন আসামিরা। এ দিন রাত ৯টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়কের কালিকাপ্রাসাদ এলাকায় অটোরিকশাচালক সোহেলকে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান আসামিরা।
পরের দিন সকালে কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে সোহেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বাবা আব্দুল হান্নান খন্দকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে।
২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামিল হোসেন জিয়া।
আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।