রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচজনের মৃত্যু, আহত ২০
বগুড়ায় রথযাত্রার গম্বুজ বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিন নারীসহ পাঁচজন নিহত এবং আহত হয়েছে ২০ জন। আজ রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. স্নিগ্ধ আখতার বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিন নারী ও দুজন পুরুষ। আমি এই মুহূর্তে হাসপাতালে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
জানা গেছে, আজ বিকেল ৫টায় শহরের সেউজগাড়ি পালপাড়া মন্দির হতে রথযাত্রা বের হয়। রথযাত্রাটি বের হয়ে স্টেশন রোডে গেলে রথের গম্বুজটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যায়। এ সময় রথে থাকা পাঁচ ব্যক্তি বৈদ্যুতিক শকে ঘটনাস্থলেই নিহত এবং ২০ জন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আদমদীঘি উপজেলার ১ নরেশ মহন্ত (৬৫), রঞ্জিত মহন্ত (৬০), শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইলের আতশী রাণী (৪০) পুরান বগুড়া সদরের অলোক, একজন নারীর পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজ নেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপর তিনি দুই হাসপাতালেই আহতদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছেন। এ ঘটনায় তিন নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, রথযাত্রায় রথের একটি রডের সঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইনের তার জড়িয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন তিনিও।
রথ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লিটক কুমার দাস। তিনি বলেন, হঠাৎ আনন্দ ঘন মূহূর্ত যেন বিষাদে পরিণত হয়ে গেল। চারদিকে শুধু আহতদের চিৎকার আর কান্নায় ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ। বৈদ্যুতিক তারে জরিয়ে নিমেষেই সব শেষ।’
এ ঘটনার পর পরই সংসদ সদস্য উপজেলা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোজ নিতে ছুটে যান।
এ সময় হাসপাতাল চত্বরে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।