গ্রামীণ অবকাঠামোর রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামে।

নিহত ব্যক্তির নাম ইনসান মিয়া (৬০)। তাঁর বাড়ি উপজেলার পিজাহাতি গ্রামে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার পিজাহাতি গ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রাস্তা পাকাকরণের কাজ পান ওই গ্রামের বাসিন্দা  ও ঠিকাদার রেজাউল করিম সুমন। ইতোমধ্যে রাস্তার কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়। এই রাস্তাটির বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে  রাস্তা সংস্কারে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে—এমন অভিযোগ করেন একই গ্রামের আতিকুর রহমান।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন এলজিইডির কর্মকর্তারা। এরপর থেকেই ঠিকাদার ও অভিযোগকারী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদার রেজাউল করিম সুমন ও আতিকুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আজ বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ঠিকাদার সুমনের পক্ষের গুরুতর আহত ইনসান মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, রাস্তা সংস্কারকাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সংঘর্ষে ইনসান মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছেন। অনেকেই আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পাওয়ার পর পরই উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ইনসান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।