বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর
গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সঙ্গে নিয়ে গেছেন তার একমাত্র বোনকেও। এ সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর উল্লাসে রাজধানীর অলিগলিতে চলছে আনন্দ মিছিল। লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে আনন্দ প্রকাশ করছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভাঙচুর করছেন ছাত্রজনতা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘এটি শোষণের প্রতীক, দুঃশাসনের প্রতীক। দেশে এগুলো থাকতে পারে না।’
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণির মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। সোয়া ৫টার দিকে কারওয়ান বাজারে বিএসইসি ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা।
আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বঙ্গভবন থেকে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে যান। এর আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘ঢাকা লংমার্চে’ কর্মসূচি সফল করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ধরে শাহবাগে এসে জড়ো হন।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে থাকা ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণারে’ থাকা শেখ মুজিবের ছবি ও শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলেন কর্মচারীরা।
এদিকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ–জামান সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর দেশ প্রতিষ্ঠা করবো। সব ধরনের সংঘাত পরিহার করে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, মানুষ মারা যাচ্ছে, সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমরা এটা আর চাই না। আমরা সকলে মিলেই সুন্দর দেশ প্রতিষ্ঠা করবো। আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস করুন।