শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা, পালিয়েছে সব বন্দি
শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা কারাগারে আটক থাকা সব বন্দি (৫২৭ জন) পালিয়ে গেছে। আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস-স্থাপনা ও আওয়ামী লীগনেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেলে প্রশাসনের গাড়িচাপা ও গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর জেলা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আগুন দেয় আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগনেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকেই শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে সদর থানা, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের ডরমেটরি, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ অফিস, শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর বাড়ি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের বাড়ি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগমের বাড়িসহ আওয়ামী লীগনেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবর পেয়ে শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে কারাগারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং লুটপাট শুরু করে। এ সময় কারাগারে থাকা ৫২৭ আসামি পালিয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল খায়রুম কারাগারে ভাঙচুর, লুটপাট ও বন্দি পলায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় সব আসামি পালিয়ে গেছে।