গণ-আন্দোলনে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারসহ ৫ সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন দমনে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের একটি মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো—
০১. জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করার জন্য যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
০২. গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
০৩. শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যেসব শিশু কিশোর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক রয়েছে, তাদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
০৪. সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা হবে।
০৫. আইন ও বিচার বিভাগের ১৬৪৩০ নম্বরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ভিকটিম সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।