দেশে এনে শেখ হাসিনার বিচার করা হবে : হাবিব উন নবী সোহেল
শেখ হাসিনা শুধুমাত্র তার শখের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য একের পর এক মানুষ হত্যা করেছে। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, দেশে এনে শেখ হাসিনার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল হক, আমিনুল ইসলাম, মামানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম ও নির্যাতন করেছে। ঢাকার শাপলা চত্বরে মাদরাসার ছোট ছোট বাচ্চাদের হত্যা করেছে, পিলখানায় মেধাবী অফিসারদের হত্যা করেছে। শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। সবশেষ আন্দোলনে ছাত্র-অভিভাবকসহ বহু মানুষকে শেখ হাসিনা ও তার গুণ্ডাবাহিনী হত্যা করেছে।’
বিএনপির এ যুগ্মমহাসচিব বলেন, ‘এই সব হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছেন, তাদের হোতা শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে বড় সিরিয়াল কিলার। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। নিরপেক্ষ বিচার হবে। বিচারের রায় যা হবে আমরা মেনে নেব। কিন্তু বিচার ছাড়া কেউ থাকতে পারবেন না। পৃথিবীর কোনো দেশ যেন তাকে আশ্রয় না দেয়।’
সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন দেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে। আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আইন আইনের মতো চলবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না এবং সংখ্যালঘু ভাই-বোন যারা আছেন, তাদেরকে আপনারা সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করবেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, দেশে একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে। উৎসবের মতো একটি নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে।’
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ঢাকায় নিহত কলেজ শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম শ্রাবণের (১৯) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে জেলার সদর উপজেলার দোগাছী গ্রামে যান হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।