‘ডাটা সেন্টারে আগুনের সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন সংক্রান্ত প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ ও ১৬ জুলাই সময়ের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ও ৫ আগস্ট তারিখে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
অপরদিকে, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট তারিখে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।