হিলিতে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে নেই সতর্কতা
বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স (এমপক্স) নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশেও এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই তথ্য জানাতে চালু হয়েছে হটলাইট নম্বর। যদিও দিনাজপুরের হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে এখনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ, প্রতিদিন এই বন্দরের চেকপোস্ট ব্যবহার শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। ফলে বাংলাদেশ রয়েছে এমপক্সের ঝুঁকিতে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানান, এমপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। এ রোগের লক্ষণগুলো কেউ অনুভব করলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাত্রী সাইফুল ইসলাম, সঞ্চিতা রাণী জানান, এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকরা যাতায়াত করেন। অনেক সময় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও আসা-যাওয়া করেন। তাই আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়ায়।
তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এমপক্স যাতে দেশে না ছড়ায়, সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের বিমানবন্দর, নৌপথ ও অন্যান্য প্রবেশপথে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশনা জারি করা হবে। যদিও দেশে এখনও কেউ আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমপক্স ভাইরাসের তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক আছি।
জানা গেছে, আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হয় মাঙ্কিপক্স তথা এমপক্স ভাইরাস। এরপর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন ও কেনিয়া। গত ১৬ আগস্ট পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।