সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে যশোর-১ আসনের টানা চারবারের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বুধাবার (৪ সেপ্টেম্বর) যশোর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল মিন্টু।
অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা সাত দিনের মধ্যে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—শার্শার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামলগাছী গ্রামের কবীর উদ্দিন তোতা, একই গ্রামের চারভাই রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মন্টু, তরিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের শান্টু ওরফে কালু, ছাত্তার, শার্শা টিএনটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা গ্রামের আদিল এবং উত্তর বুরুজ বাগানের হাফিজুর রহমান মিন্টু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী মোস্তফা কামাল মিন্টুর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ’ল চেম্বার রয়েছে। এ ছাড়া তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে নিজবাড়ি সংলগ্নে। সেখানে বসে তিনি এলাকার মানুষের আইনি সেবা দেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নিজ এলাকার চেম্বারে বসে ছিলেন তিনি। এমন সময় শার্শা-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অফিসে হামলা চালায়। এসময় তার গলায় গাছি দা ধরে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ জানালে আসামিরা তার অফিস ভাঙচুর করে বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা বাদীর দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করার জন্য গেলে থানা পুলিশ তা নেয়নি। এখন দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।