আশুলিয়ায় ৭৯ পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় গতকাল বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের জেরে কারখানা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে হা-মীম গ্রুপসহ ৭৯টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম। অন্যদিকে ধামরাইয়ে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাটার কারখানার সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।
এ এইচ খান কোম্পানি ও আরম্যাক সার্ভিসেস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান দুটির শ্রমিকরা সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করছেন। বাটা স্থানীয় এই দুটি কারখানা থেকে সাব কন্টাক্টে জুতা কেনে। কয়েকশ শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে সকাল থেকেই বাটার কারখানার সামনে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে আজও তৈরি পোশাকশিল্প কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র্যাব বিজিবি ও সেনা সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, র্যাব ও পুলিশের রায়ট কার। সকাল থেকে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি কারখানায় কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শুরু থেকেই শিল্পাঞ্চল সাভার শান্ত ও স্থিতিশীল ছিল। সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যৌথ অভিযানসহ নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে অস্থিরতা কেন থামছে না-তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, বহিরাগত ও মুখোশধারীরা বিভিন্ন অজুহাতে কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করছেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি দেওয়া নিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি শিল্প কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ত্রুটি ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যা গোটা শিল্প এলাকাকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
একটি কারখানা থেকে শ্রমিকরা একযোগে বের হয়ে এসে অন্য কারখানায় ইট পাটকেল ছুড়লে নিরাপত্তার কারণে ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এভাবে ভালো কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হওয়ায় এই খাতে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল আশুলিয়ায় আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি পোশাক কারখানায় ইউফোরিয়া নামের অপর একটি কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর র্যাবের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।