ছাত্র আন্দোলনে নিহত কোরআনে হাফেজ রায়হান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত খুলনার রায়হানের পরিবারে চলছে আহাজারি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারটি। ১৯ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শেখ মো. রায়হান। পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তৎকালীন স্বৈরশাসক অনেকটা গোপনে খুলনা এনে রায়হানের লাশ দাফন করে। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বাসায় এসে তার পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত রায়হানের লাশ এভাবে নিয়ে যায় সহযোদ্ধারা। এ চিত্র প্রথমে মোবাইল ফোনে দেখতে পায় পরিবার সদস্যরা। সেই তাদের কান্নার শুরু। ছেলের শোকে মায়ের বিলাপ যেন আর শেষ হয় না। অনেকটা অভাব অনটনের সংসারে হাল ধরতে খুলনা থেকে ঢাকায় এসে চাকুরি নিয়েছিলেন রায়হান। কোরআনে হাফেজও ছিলেন রায়হান।
১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রায়হান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন যাত্রাবাড়িতে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন রায়হান। তৎকালী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গোপনে খুলনার সোনাডাঙ্গায় তার লাশ এনে তড়িঘড়ি দাফন করতে বাধ্য করে সবাইকে। দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।