নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না : হিন্দুস্তান টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো বৈঠক হবে না। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়েছিল।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা এড়াতে সাহায্য পাওয়া যাবে এমন আশায় বৈঠকে আগ্রহী ছিল ঢাকা।
সূত্র জানায়, এ ধরনের বৈঠক ভারত সরকারের এজেন্ডায় নেই। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যস্ত সময় কাটাবেন। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে কোয়াড লিডারস সামিটে যোগ দেবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদির কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য কোনো সময়সূচি নেই।’
সময়সূচি সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্য এবং ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রায় প্রতিদিনের বিভিন্ন মন্তব্যে ভারতের সমালোচনা ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। তিনি ভারত সরকারকে পরামর্শ দেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দল ‘ইসলামপন্থি’, ভারতকে এমন ধারণার বাইরে যেতে হবে।
এ ছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য সদস্যরা বারবার হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। তৌহিদ হোসেনও স্বীকার করেন, এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ ‘ভারত সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি’ তৈরি করবে।
ভারত সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে স্বল্প সময়ের নোটিশে দেশে আসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাসিনা ভারতে থাকাকালে অনেকটাই আবদ্ধ ও নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রত্যর্পণের নিয়ে যেকোনো সম্ভাব্য বাংলাদেশি অনুরোধের বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছে। তারা এটিকে একটি অনুমাননির্ভর বিষয় বলে বর্ণনা করেছে।