খাগড়াছড়িতে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২০
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত চলা এসব সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন—ধনরঞ্জন চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধনরঞ্জন চাকমা গতকাল দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বাকি দুজন রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়া এলাকায় গুলিতে নিহত হন। তাদের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, তাদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় এবং অপর দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে সন্ধ্যার পর থেকে দীঘিনালা, পানছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার অবরোধ করা হয়। পানছড়িতে বিক্ষোভকারীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুর করে।
পুরো জেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত পাহাড়ি লোকজন রাস্তায় গাছ কেটে এবং চেঙ্গী নদীর জন্য নির্মিত ব্লক ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘দীঘিনালায়র বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই মিলে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করছি।’