জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি : ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এ প্রত্যাশা পূরণে আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। আইন ও বিধির মধ্য থেকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগ আয়োজিত বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মাইনুল হাসান এ কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একইসাথে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের।
মাইনুল হাসান বলেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স একটি ঐতিহ্যবাহী ও পবিত্রস্থান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের সূচনা এখান থেকেই হয়েছিল। ডিএমপি হলো বাংলাদেশ পুলিশের দর্পণস্বরূপ। ডিএমপির প্রতিটি সাফল্য ও অর্জন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে অনুপ্রাণিত করে।
কমিশনার বলেন, পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্র যে দায়িত্ব প্রদান করে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পুলিশের প্রতিটি কাজ আইন ও বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আইনের বাইরে পুলিশের কাজ করার সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।
কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যগণ তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা ডিএমপি কমিশনারের নিকট পেশ করেন। কমিশনার সবার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সকলকে আশ্বস্ত করেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সকে সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি ফোর্সের কল্যাণে যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে বলে জানান কমিশনার। ফোর্সের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে জানান তিনি। এ ছাড়া তিনি মেসে উন্নত খাবার ও ব্যারাকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডিমপিতে নতুন যোগদানকৃত ফোর্সদের স্বাগত জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে পুলিশ সদস্যদের সকল ত্যাগ মেনে নিতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন এবং জনগণকে সেবা দেওয়ার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ইসরাইল হাওলাদার বলেন, কেউ আমাদের শত্রু নয়, সকল জনগণ আমাদের বন্ধু। আমাদের কাজ হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এর জন্য ডিএমপির সকল ফোর্স রাত দিন কাজ করতে হবে। পুলিশের কাজই হচ্ছে মানুষের সেবা দেওয়া।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম-বার তার বক্তব্যে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে বিশেষ কল্যাণ সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, সংশ্লিস্ট উপকমিশনারগণ ও ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।