রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ১
রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহ নেওয়াজ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি জেনেভা ক্যাম্পে কাল্লু নামে পরিচিত।
গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১১টা নাগাদ জেনেভা ক্যাম্পের কারবারি ভূঁইয়া সোহেল ও পারমনু গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় যুবক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালটির মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ক্যাম্পে মাদকের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি শুরু করে শীর্ষ মাদক কারবারি ভূইয়া সোহেল গ্রুপ। যার প্রতিপক্ষ আরেক মাদক কারবারি পারমনু গ্রুপ।
এ সময় ভূঁইয়া সোহেল গ্রুপের গুলিতে শাহ নেওয়াজ কাল্লু নামের যুবক নিহত হন। ভূঁইয়া সোহেল বর্তমানে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি। সোহেল, তার ভাই রানা ও টুনটুনের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয় পুরো ক্যাম্প এলাকার হেরোইন কারবার৷ তাদের বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক মামলা থাকলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যান তারা।
জানা গেছে, শাহ নেওয়াজ কাল্লু জেনেভা ক্যাম্পের আরেক মাদক কারবারি লালনের বড় ভাই। লালন ভেনেভা ক্যাম্পের মাঝারি পর্যায়ের একজন মাদক কারবারি। তার নামেও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা। তিনি আরেক মাদক কারবারি পারমনুর বিশ্বস্ত সহচর।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, এই ক্যাম্পের ভিতরে নানা ধরনের অপকর্ম হয়। কিছুদিন আগেও আমরা সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে উদ্যোগ না নিলে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সামাজিকভাবে তাদেরকে পুনর্বাসন করা দরকার।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার অস্ত্রাগার লুট করে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারিরা। সে অস্ত্র হাতে ওই দিন থেকেই মাদক নিয়ে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত হন তারা। ৬ আগস্ট গুলিতে নিহত হন একজন। সেপ্টেম্বরে প্রাণ যায় আরও দুজনের।