ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাবেক সংসদ সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কবির উদ্দিন আহমেদ। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় শহরের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, তাঁর ছেলে মোসাব্বির হোসেন সাদ্দামকে গত ১৩ অক্টোবর জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল আটক করে। ১৪ অক্টোবর চাঁদাবাজির মামলা করে সেই মামলায় গ্রেপ্তারের কথা জানায়। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ কারাগারে আছেন। এ ছাড়া তাঁর আরেক ছেলে তাওসিফ কবির সায়েমকেও ওই মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে।
কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম সুমন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমানে জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছে। এ ছাড়া অতীতে ছাত্র সংসদের ভিপি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবেও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। ভবিষ্যতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ও পরিবারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার ছেলেদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে আটক করেছে।
কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ১১ আগস্ট নৌকায় যে চাঁদাবাজির অভিযোগে আমার ছেলেদের নামে মামলা করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে আমার দুই ওই আটটি নৌকা ক্রয়সূত্রে ৫০ ভাগ মালিক। কিন্তু বাদী নূরুজ্জামান ও সাক্ষীরা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধায় তৎকালীন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের প্রভাবে ও নির্দেশে আমার ছেলেদের অংশ বিক্রি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে দৈনিক লভ্যাংশের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আমার ছেলে তাওসিফ কবির সায়েম বাদী হয়ে আদালতে মামলাও করেছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। কিন্তু পাওনা টাকা না দিতে আমার ছেলেদের হেনস্থা করতে ১৪ অক্টোবর চাঁদাবাজির মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছে।
কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, যেখানে অংশীদারত্ব সূত্রে আমার দুই ছেলের নৌকার মালিকানা রয়েছে এবং মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত কাগজপত্র রয়েছে, সেখানে তাদের নামে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করানো খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভুইয়াও উপস্থিত ছিলেন।