গোপালগঞ্জে ডাকাতি মামলার আসামি জালটাকাসহ গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জে প্রায় আড়াই লাখ জাল টাকা, জাল টাকা ভাঙানো নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা ও একটি প্রাইভেটকারসহ দুই জাল টাকা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গোপালগঞ্জ সদর থানার হরিদাসপুর গ্রামের মৃত হিরু শেখের ছেলে ও তুরাগ থানা এলাকার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বুথ ভেঙে ১১ কোটি টাকা লুট মামলার অন্যতম আসামি মো. হাবিবুর রহমান (৪০) ও একই গ্রামের ফকিরকান্দি এলাকার নওশের আলী শেখের ছেলে রিপন শেখ বাটু (৩৭)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের প্রেসক্লাব সংলগ্ন গোপালগঞ্জ টেলিকমের সামনে এবং সদর হাসপাতালের সামনে জনসাধারণ জাল টাকাসহ মো. হাবিবুর রহমান ও রিপন শেখ বাটুকে আটক করে।
পরে পুলিশকে খবর দিলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ বঙ্গবন্ধু সড়কের প্রেসক্লাব সংলগ্ন গোপালগঞ্জ টেলিকম এর সামনে থেকে গ্রেপ্তারকৃত মো. হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ২ লাখ ৪১ হাজার জাল টাকা ও নগদ ৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার এবং একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এছাড়া রিপন শেখ বাটুর কাছ থেকে ২ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মো. হাবিবুর রহমান ২০২৩ সালে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বুথ ভেঙে ১১ কোটি টাকা লুট মামলার প্রধান আসামি। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের নামে তুরাগ ও গোপালগঞ্জ সদর থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান আরও জানান, ডাচ বাংলা ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার আসামি হাবিবুর রহমান ১৬ মাস জেল খেটে জামিন নিয়ে জাল টাকা ভাঙানোসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এ (বি) ধারায় মামলা হয়েছে (মামলা নং-৩১।