বিএনপিপন্থি ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারীকে লাখ টাকা জরিমানা
আপিল বিভাগের সাবেক দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগের মামলায় বিএনপিপন্থি সাত শীর্ষ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনকারী আইনজীবী নাজমুল হুদাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে আজ রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একের পর এক ধার্য তারিখে শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় আবেদনকারী আইনজীবী নাজমুল হুদাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার টাকা তিন সপ্তাহের মধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দিতে বলা হয়েছে।
আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতারা হলেন—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তবে এর মধ্যে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন।
আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। আদালতে আবেদনকারীর অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ ছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মিছিল সমাবেশও করে আইনজীবীরা।