ইসির প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ২০০৯ সালের কয়েকটি ধারা ও বিধি এবং নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ মার্চ) জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
আগামীকাল সোমবার (২৪ মার্চ) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী।
রিটে আইন, বিধি ও গত ১০ মার্চ জারি করা নির্বাচন কমিশনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে—নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আইন ও বিচার বিভাগের) সচিবকে।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের ৯০ এর বি (১) (৩) এক তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি থাকতে হবে এবং একশ উপজেলায় কমিটি থাকতে হবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩৫, ৩৬ এবং ৩৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়াও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর পরিপন্থি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসির) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির ধারা (ই)- দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ, উহা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর, অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দফতর এবং অন্যূন একশতটি উপজেলা বা, ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দফতর এবং উক্তরূপ প্রতি উপজেলায় বা, ক্ষেত্রমতো, থানায় অন্যূন দুইশত ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল। সেটিও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে রিটে।