প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কার যুবক
প্রেমের টানে সুদূর শ্রীলঙ্কা থেকে এক যুবক পটুয়াখালীর দশমিনায় এসেছেন তার প্রেমিকার কাছে। প্রেমিকা সুবর্ণা আক্তার প্রেমের স্বীকৃতস্বরূপ তাঁকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কান যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা প্রেমের টানে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে ছুটে আসেন। প্রেমিক দিলশান মাদুরাঙ্গা ও প্রেমিকা সুবর্ণা আক্তার জর্ডানের একটি গার্মেন্টসে একই সাথে চাকরি করতেন। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয়ে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব হয়। তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে। প্রেমিকা সুবর্ণা আক্তার মাসখানেক আগে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। গত বৃহস্পতিবার প্রেমিকা দিলশান মাদুরাঙ্গা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে এলে; তাদের উভয়ের সম্মতিতে ওই দিনই পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরে একই দিনে সুবর্ণার গ্রামের বাড়ি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়ায় ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়। দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।
শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, আমরা দুজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিয়ে করেছি।
সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। দোয়া করি ওরা যেন ভালো থাকে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমঘটিত কারণে দশমিনায় এসেছেন। কিন্তু তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানি না।
ইউএনও ইরতিজা হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আইনে কোনো বাধা না থাকলে সমস্যা নেই।