প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের সুপারিশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/11/18/gvt.jpg)
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে কার্যপরিধি নির্ধারণ করার প্রাথমিক খসরা তৈরি করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বার্তায় বলা হয়, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়, সাংবাদিক কামাল আহমেদকে কমিশন প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে পর্যায়ক্রমে রয়েছেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি ও দ্য ফাইন্যানসিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) সংগঠনের প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ও যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিশন দ্রুত এই কার্যক্রম শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য বেতন ছাড়া কাজ করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য খসরাটি উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানানো হয় ওই বার্তায়।