তিতুমীর কলেজের ইস্যুটি আশু সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
তিতুমীর কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এর একটি আশু সমাধান হবে। আমার মনে হয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়া দরকার। তাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবে সরকার। সাত কলেজের সবার সঙ্গে এক ধরনের আলোচনা হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নিষ্পেষণের বিষয়টি তুলে ধরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান যিনি তাকে কমিশনের সদস্য অন্তর্ভুক্তির জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশনই উপযুক্ত জায়গা, আপনি কমিশনেই এই প্রশ্ন করতে পারেন।
কমিশনের সদস্যদের বিষয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, আমরা মনে করি যাদেরকে নেওয়া হয়েছে, ব্যাপক অভিজ্ঞতা (ব্রড বেজড) একটা প্যানেলকে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের বিশ্বাস। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের ভালো অতীত (সলিড ব্যাকগ্রাউন্ড) আছে।
এই কমিশন কাঠামোগত একটি সংস্কারের জন্য ভালো একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, গতকাল ভাষণে যা বলেছেন ওটাই বক্তব্য। ওটি ছাড়া এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট আর কোনো বক্তব্য নেই।
নতুন উপদেষ্টার নিয়োগের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, মানুষ মতামত দিচ্ছে আমরা দেখছি।
শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে ১৮ দফা নির্ধারণ করেছি। এর ফলে এখন দুয়েকটি কারখানা ছাড়া তেমন একটা সমস্যা নেই। এর প্রতিফলন রপ্তানিতেও দেখেছি। গত মাসে প্রায় ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আল জাজিরার সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যেই নির্বাচন চার বছরের মধ্যে বা কম না বেশি সময়ে হবে তা তিনিই স্পষ্ট করেছেন। আমাদের আর নতুন করে স্পষ্ট করার কিছু নেই।
পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভালো মতো না শুনে নিউজের শিরোনাম দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ।