স্ত্রী- দুই সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩০) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ভৈরব রানীর বাজার এলাকার শাহজাহান মিয়ার সাত তলা বিল্ডিংয়ের সপ্তম তলায়।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ ওই বাসা থেকে স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৫) শিশুপুত্র ধ্রুব বিশ্বাস (৭), মেয়ে কথা বিশ্বাস এবং বাবা জনি চন্দ্র বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে।
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, পুলিশ ও প্রতিবেশীরা কেউ বলতে পারছে না। তবে একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে অতিরিক্ত ঋণগ্রস্ত হওয়ায় স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করতে পারেন জনি।
জনি চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই সমীর চন্দ্র বিশ্বাস জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি ইউনিয়নের আনারাবাদ গ্রামে। তাদের বাবার নাম গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাস।
জনি বিশ্বাস ১০-১২ বছর ধরে ভৈরবে বসবাস করেন। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। সেখান থেকে ফিরেন সন্ধ্যায়। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে আর কথা হয়নি।
আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ফোন করে জানান, সকাল থেকে ওই বাসার দরজা বন্ধ। খবর পেয়ে তিনি এসে এই মর্মান্তিক ঘটনা জানেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহহুলো উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে এবং সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন আসার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।