ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থানান্তরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বের) দুপুর ১২টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
হাজি শরিয়তউল্লাহ (র.)-এর ৭ম পুরুষ হাফেজ মাওলানা হানজালার নেতৃত্বে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
প্রকল্পটি শিবচরের কুতুবপুর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্তের খবর শুনে ফুসে উঠেছে শিবচরের সর্বস্তরের মানুষ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রকল্পটি সরানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সরকারকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। নয়ত কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাফেজ মাওলানা হানজালা বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি আমাদের শিবচরে নির্মাণকাজ চলমান। এরই মধ্যে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে এই খাতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশায় অনেকে বিঘায় বিঘায় জমি দিয়েছে। সবাই স্বপ্ন দেখছে এখানে একটি মেগা প্রকল্প হবে। কিন্তু শুধু সয়েল টেস্টে ত্রুটির মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্পটি এখান থেকে স্থানান্তর করে পূর্বাচলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান কর্মসূচি দিব, প্রয়োজনে আমরা প্রাণ দিব তবুও এই প্রকল্প এখান থেকে কিছুতেই সরাতে দেব না।
প্রকল্পটির সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে হাফেজ মাওলানা হানজালা বলেন, আপনাদের ১০ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হলো, এই হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। আর না হয় আমরা দুর্বার আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিব।
পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭০ একর জমির উপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা কাজের জন্য ব্যয় হয়। জমি অধিগ্রহণ করে বিদুৎ সংযোগ, মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে। প্রকল্পে জমিদাতা বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্তর ক্ষতিপূরণের টাকাও দেওয়া হয়েছে।