গোপালগঞ্জে প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক শিশু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে শতাধিক শিশু-কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শিশু-কিশোরদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দি চার্চ অব বাংলাদেশে কমপেশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কান্দি এজি চার্চে সকাল ৯টা থেকে সংস্থাটির তালিকাভুক্ত ৩২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সকল শিশু-কিশোরকে দুপুর ২টার দিকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানির প্যাকেট বাড়িতে নিয়ে শিশু-কিশোররা খাওয়ার পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরবর্তীতে অসুস্থ শিশু-কিশোরদের অভিভাবকরা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শতাধিক শিশু-কিশোরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রসূত্রে জানা গেছে।
ধারাবাশাইল গ্রামের বিপুল রায়ের স্ত্রী সাথী রায় বলেন, আমার চার মেয়ে ইস্টিলা রায় (১১), এঞ্জেলা রায় (৯), সৃষ্টি রায় (৬), পল্লবী রায় (৩) সকালে এজি চার্চের অনুষ্ঠানে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওরা ওই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে বাড়িতে আসে। ওই খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর তাদেরকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসি।
কমপেশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্দি ইউনিয়ন শাখার প্রজেক্ট ম্যানেজার রিপন কুন্দা বলেন, আমাদের সংস্থার তালিকাভুক্ত ৩২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান করি। এদেরকে স্থানীয় ধারাবাশাইল বাজারের গোবিন্দ বোস হোটেল থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা এই শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য ধারাবাশাইল বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী গোবিন্দ বোসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, আজ সন্ধ্যার দিক থেকে হাসপাতালে বমি ও পাতলা পায়খানাজনিত সমস্যা নিয়ে শিশু-কিশোরেরা আসতে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, খাদ্যজনিত সমস্যা থেকে এরা অসুস্থ হয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।