আন্তজেলা গাড়িচোর চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫
নারায়ণগঞ্জে আন্তজেলা গাড়িচোর চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে চোরাই তিনটি মোটরসাইকেল, দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা চোরেরা হলেন চক্রের মূলহোতা জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার আতাউর রহমান (৩৫), সোনারগাঁও থানার নুনের টেকের সুমন মণ্ডল (৪২), জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার ওয়াকি (২৫), গোদনাইল সৈয়দপাড়ার বাবু ভুইয়া ও জালকুড়ি দক্ষিণপাড়ার মো. রাজিব হোসেন (৩৬)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকষ দল গাড়িগুলো উদ্ধার ও তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার বলেন, কয়েক দিন ধরে রাতের অন্ধকারে চালকদের আক্রমণ করে বিভিন্ন গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে পেশাদার পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে আরও চোরাই গাড়ি থাকতে পারে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে সেই সব গাড়ি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে। গ্রেপ্তার করা চোরদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে তিন থেকে ছয়টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ অটোরিকশা, প্রাইভেটকার চুরি করে আসছিল।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাত ১২টায় সাইনবোর্ডে পিবিআই অফিসের সামনে মনির মিয়ার গ্যারেজের পাশে চোরাই গাড়ি কেনাবেচা করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আতাউর, সুমন মণ্ডল ও রাজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়াফি ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেখানো মতে, ওয়াফির বাসার গলি থেকে একটি চোরাই নোয়া গাড়ি ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।