শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে : আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয় ও রাজনীতিকরণ করেছে; আমাদের দেশের ক্রীড়াঙ্গন এর থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের লেকশোর হোটেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
আমিনুল হক আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন-তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোন দলীয় ও রাজনীতিকরণ ছিল না। তখন মাঠের যারা ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড় ছিল; তাদেরকে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তোলার কারণেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আমরা দেখেছিলাম।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন অয়ালি সাব্বির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান সমন্বয়ক আকতার হোসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর), মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, রেজাউর রহমান ফাহিম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, আবুল হোসেন আব্দুল, শামীম পারভেজ, নুরুল হুদা ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, এ এস এম খালেদ, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, তাসলিমা রিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আরশাদুল আরিস ডল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মহসীন সিদ্দিকী রনী। এছাড়াও দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এসআই টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, মিরপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার, আবুল কালাম আজাদ, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসনাত তুহিন মাস্টার, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ঈমান হোসেন নূর, গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, বাড্ডা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিলুফার ইয়াসমিন, শাহআলী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান দেওয়ান, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খোকা, মহিউদ্দিন রাজা, মো. চান মিয়া, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সিকদারসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬টি থানা কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬টি থানাকে ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল খেলার পরে দুটি দল নিয়ে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো ঢাকার মাঠে দেখা যাবে। জিয়া আন্তঃথানা ফুটবলের এই টুর্নামেন্টটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে।