জানুয়ারিতেই ৫ শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা, তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রিতে
চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বোচ্চ পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোনো কোনো শৈত্যপ্রবাহের ফলে দেশের তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলামের সই করা দীর্ঘমেয়াদি ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি (ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং দেশের অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু (১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, জানুয়ারি মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। তবে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভুতি বাড়তে পারে।
এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা ও অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
জানুয়ারি মাসের নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
কৃষি আবহাওয়ার পুর্ভাবাসে জানানো হয়, জানুয়ারি মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন এক দশমিক ৫০ থেকে তিন দশমিক শূন্য মি. মি. ও গড় সূর্য কিরণকাল পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা থাকতে পারে।