বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল দুপুরে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। শুরায়ে নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা মো. জুবায়ের মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ১১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে উপলক্ষে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডক্টর নাজমুল করিম খান। তিনি বলেন, আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২টায়। আখেরি মোনাজাত শেষে তাবলিগের দাওয়াতি কাজে বের হবেন দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।
আজ মঙ্গলবার ফজর নামাজের পর মুসুল্লিরা নিজেদের খিত্তায় অবস্থান নিয়ে জোটবদ্ধভাবে তালিম নেন। তাসকিলে আঞ্চলিক মুরুব্বিদের আলোচনা, মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য তাবলীগের নিয়ম-নীতি ধর্ম পরিকল্পনা নিয়ে পৃথক পৃথক বয়ান, ইজতেমা শেষে চিল্লাবন্দি হওয়ার জন্য কার্যক্রম এবং যৌতুকবিহীন বিয়ে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম চলছে।
প্রথম ধাপের মতো ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি না থাকলেও তাবলীগের রীতি অনুযায়ী বাদ ফজর হয়েছে আমবয়ান। বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জাকারিয়া। সকালে তালিমের মোজাকারা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব। পরে খিত্তায় খিত্তায় তালিম করা হয়। ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব। এরপর নামাজের মিম্বারের সামনে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানের মাওলানা ফরীদ সাহেব।
৪০টি খিত্তায় অবস্থান নিয়ে তাবলীগ বিষয়ে মুরুব্বিদের দিকনির্দেশনা শুনছেন ২২ জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা। ইজতেমার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠায় ভূমিকা রাখা, দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে দ্বীন ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা চলছে। সর্বোপরি মহান তাবলীগের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করাই তাদের প্রচেষ্টা বলে জানান ইজতেমায় আগত কয়েকজন মুসল্লি।
আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা—এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ব্যতীত টঙ্গী স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।
ইজতেমা আয়োজনে প্রশাসনিক সমর্থন ও সক্ষমতার প্রশংসা করছে মুরুব্বিরা এমনটা জানান শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।