গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার, ওসি প্রত্যাহার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/08/pulish_kmishnaar.jpg)
গাজীপুরের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় শির্ক্ষীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. মুহাম্মদ নাজমুল করিম খান। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন। এসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য হামলাকারীদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। এসময় তিনি দায়িত্বে অবহেলার জন্য গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন।
পুলিশ কমিশনার উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন, গত রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার জন্য আমি পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, ব্যর্থতা স্বীকার করছি।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর বিক্ষুব্ধ হলে সারজিস আলম পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পরে পুলিশ কমিশনার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমি নিজেও বৈষম্যের শিকার হয়ে পুলিশে চাকরি করে আসছিলেন। তিনি ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কোথাও না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে দশটার দিকে গাজীপুর মেট্রো সদর ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাট করা হচ্ছে এমন সংবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের জানানো হয়। খবর পেয়ে বেশ কিছু ছাত্র আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়িতে গেলে তাদেরকে সেখানে আটক করে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত অন্তত ১৯ জনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে করে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকা ও শহরে গতকাল শুক্রবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।
সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল রাতেই শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন।