রাজশাহী কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৪ বিএনপিনেতার মুক্তি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/rajshahi_bnp_pic.jpg)
পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চার বিএনপিনেতা মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান। তাঁরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন।
মুক্তি পাওয়া বিএনপিনেতারা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আখতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন ও বিএনপির স্থানীয় নেতা শামসুল আলম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নয়জনসহ ৪৭ জনের সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর আজ তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিনেতাদের মুক্তি উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই ঈশ্বরদী থেকে গাড়িবহর নিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন বিপুল নেতাকর্মী। নেতাদের মুক্তির কিছুক্ষণ আগে কারাগারের সড়ক সংলগ্ন ফটকটি খুলে দেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীরা কারাগারের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়ে। কারাগারের ফটক থেকে চারজন বের হলে তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ।
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাঁকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনর্তদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪৭ আসামির সবাইকে খালাস দেন হাইকোর্ট।