ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর নূরানী জামে মসজিদের ইমামকে ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শামিম (২৯) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত শামিমসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই গ্রামের পাকপাঞ্জাতন দরবার শরীফের জিকিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযুক্ত শামিমের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে মসজিদের ইমাম মোশাহিদুল ‘নাম্বার ছাড়া ভণ্ড’ কথাটি লিখে মন্তব্য করেন। পরে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি দাওয়াতে যাওয়ার সময় শামিম তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে।
অভিযুক্ত শামিম বলেন, হুজুর ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মন্তব্য করেছে। পরে তার নম্বরে ফোন দিলে আমাকে হুমকি দেয়। তাই গত শুক্রবার হুজুরকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ডাক দিয়ে কমেন্ট করার বিষয়ে জানতে চাই। তিনি তর্ক শুরু করলে আমি একপর্যায়ে রাগের বসে তাকে ধাক্কা দেই। তবে তাকে মারধর করিনি।
ভুক্তভোগী ইমাম বলেন, শামিম ও তার দুলাভাই মইন খান মিলে আমাকে মারধর করেছে। আমার বুকে লাথি দিয়েছে। আমি কেন হক কথা বল্লাম তাই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে এখনো ফোনে হুমকি দিচ্ছে শামিমের লোকজন। তাই আমি প্রাণনাশের ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে ইমামের পাশে দাঁড়িয়েছে ইমামদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন, সংগঠনটির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি সালাউদ্দিন ইয়াকুবী জানান, জিকিরের নামে ইসলামকে ব্যঙ্গ করায় ইমাম সাহেব প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তাকে আক্রমণ করেছেন শামিম ও তার লোকজন। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
কোল্লাপাথর নূরানী জামে মসজিদের সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, ইমাম সাহেব কোনো ভুল করলে আমাদের কাছে জানাতে পারত। রাস্তায় প্রকাশ্যে এমন নির্যাতন করে তার প্রতি জুলুম করেছে শামিম ও মইনরা। আমরা এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের ঘটনা শুনেছি। আমি আর কিছু জানিনা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের। তিনি জানান, ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের ব্যপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।