ঝিনাইদহে মাশরুম চপে ভাগ্য ফিরেছে আশরাফুলের

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল বাজারে আশরাফুল ইসলাম ৯ বছর আগে স্বল্প পুজিতে গড়ে তোলেন পিয়াজু ও আলুর চপের দোকান। শুরুতে ব্যবসা ভাল না হওয়ায় বিকল্প চিন্তা থেকে ২০১৭ সালে মাশরুমের চপ বিক্রয় শুরু করেন তিনি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। এখন প্রতি মাসে এই চপ বিক্রি থেকে তার আয় ৫০ হাজার টাকা।
জানা যায়, চপ বিক্রয়ের শুরুতে নিজ গ্রামের এক নারীর নিকট থেকে মাশরুম সংগ্রহ করতেন আশরাফুল। পরে যশোর মাশরুম সেন্টার থেকে মাশরুম চাষ পদ্ধতি শিখে নিজের বাড়িতেই চাষ শুরু করেন তিনি। বাড়ির মাশরুম ‘মায়ের দোয়া মাশরুম সেন্টার’ নামে দোকানে চপ বানিয়ে বিক্রয় শুরু করেন। চপ ভেদে ১০ , ২০ ,৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করেন তিনি।
প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে আশরাফুল ইসলামের মাশরুমের চপ খাওয়ার জন্য ভোজন রসিক ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আসেন চাপরাইল বাজারে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, মাশরুম চাষ বেকার সমস্যার সমাধান ও বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যার প্রমাণ আমি নিজেই। এ ছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসও মাশরুম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ, বীজ ও উপকরণ দিয়ে সহায়তা করছে। আমিও তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি বিভিন্ন সময়।
কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্য থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ জন বেকার যুবক ও ছয়জন কর্মহীন নারী মাশরুম চাষ করছেন। যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে কৃষি অফিস এসব মাশরুম চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রত্যেকে বেকার যুবক এবং নারীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কাঠের তৈরি তাক, পানির পাত্র এবং ওয়েস্টার জাতের ১০০টি স্পনও দেওয়া হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ওষধিগুণ সম্পন্ন খাবারের পাশাপাশি মাশরুম চাষ অনেক লাভজনক। সেটি প্রমাণ করেছেন সফল মাশরুম চাষি আশরাফুল ইসলাম। মাশরুম একটি সম্ভবনাময় ফসল। এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মুন বলেন, মাশরুম চাষীদের আমরা প্রশিক্ষণসহ দেখভাল করছি।