পাথরঘাটায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

বরগুনার পাথরঘাটায় জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুসারে—কালমেঘা ইউনিয়নে ১০টি, কাকচিড়া ইউনিয়নে ১০টি, চরদুয়ানী ইউনিয়নে ছয়টি, নাচনাপাড়া ইউনিয়নে সাতটি, কাঠালতলী ইউনিয়নে দুটি এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের কোথাও বড় ফাটল ধরেছে। বেরিয়ে এসেছে রড। আবার কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ভয় ও আতঙ্কে ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিপরীতে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই তাদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
চরটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা বলে, ‘আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের রুমে ক্লাস করতে হয়। সব সময় মনের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। আমাদের স্কুলে একটা নতুন ভবন হলে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারব।’
চরটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি আমাদের অফিস কক্ষের অবস্থাও জরাজীর্ণ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আমাদের পাঠদানের আরও গতি বাড়বে।’
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পাথরঘাটায় ৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের নামের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান না করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ভবনের অনুমোদন পেলে ভবনে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’