কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বেল!

রোজাদারদের প্রিয় ও স্বাস্থ্যসম্মত ফল বেল। রমজানে এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কেজি দরে বিক্রি করছেন বেল। এমন চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট-বড় বাজারগুলোতে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাউফল উপজেলায় বেলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও বাড়ির উঠান কিংবা আশেপাশে বা সড়কের পাশে বেল গাছ রোপণ করা হয়। স্থানীয় ব্যাপারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিস হিসেবে কিনে এনে পাইকারিভাবে কেজি দরে বিক্রি করেন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। প্রতি কেজি বেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়।
মো. নাছির উদ্দিন হেলালি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) উপজেলার কালাইয়া বাজার থেকে এক ফল বিক্রেতার কাছ থেকে এক কেজি বেল কিনেছেন ১৬০ টাকায়। পরিমাণে ছিল দুইটা বেল। অথচ এই বেল দুইটা রোজার আগে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তিনি বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণা বন্ধের দাবি জানান।
খুচরা বিক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে কেজি দরে কিনে এনে প্রতি কেজিতে পাঁচ-দশ টাকা লাভে বিক্রি করি। তবে তিনি স্বীকার করেন তার ব্যবসার বয়সে তিনি কখনোই বেল কেজি দরে বিক্রি করেননি।
বাউফল পৌর শহরের ফলের আড়তদার মো. আল ইসলাম ও কালাইয়া বন্দরের ফলের আড়তদার স্বপন সাহা জানান, গ্রামে যে পরিমাণ বেল পাওয়া যায়, তা দিয়ে উপজেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই যশোর থেকে বেল পাইকারি কিনে এনে বিক্রি করেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কেজি দরে বেল বিক্রি এক ধরনের প্রতারণা। বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে।