মালচিং পদ্ধতিতে ঝিঙের আগাম চাষে দুলু মিয়ার সফলতা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর (কাঁঠাল লক্ষ্মীপুর) গ্রামের কৃষক নেছার সরকার দুলু মিয়া এ বছর রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামে ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের ঝিঙে লাগিয়ে সকল কৃষকের আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তার জমিতে লাগানো ফসল দেখে অনেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন ও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) নিজ জমিতে কাজ করা অবস্থায় কৃষক নেছার সরকার দুলু বলেন, ‘এ বছর আমি ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের ঝিঙে চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে। ৪৫ দিন পূর্বে লাগানো ঝিঙে গাছে ইতিমধ্যেই ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। এতে করে আশা করি আল্লাহ যদি কোনো বালা- মুসিবত না দেন তাহলে ফলন ভালো হবে ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। আমি গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে এক শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ করেছিলাম। সেখানে ভালো ফলাফল পাওয়ায় এ বছর ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে ঝিঙে চাষ করেছি।’
নেছার সরকার দুলু আরও বলেন, ‘মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ করলে রোগ বালাই কম হয়, আগাছা হয় না, নির্দিষ্ট দূরত্বে লাগানো চারা সুস্হ-সবল হয়, সার কম লাগে, সর্বোপরি উৎপাদন খরচ কম হয়। রোগ বালাই না থাকায় সার ও কীটনাশকের খরচ নেই, সুস্থ-সবল গাছে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে ঝিঙে মার্চ-এপ্রিল মাসে লাগানো হয়। মে-জুনে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। আর আমি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঝিঙের বীজ রোপন করেছি। এতে করে আমার উৎপাদিত ঝিঙে মার্চ-এপ্রিলেই আসবে, বাজারে বেশি দামে বিক্রি হবে, লাভও ভালো হবে।’
এলাকার কৃষক আয়ুব আলী, জাহিদুল ইসলাম, আজাদুল জানান, এলাকার কৃষকরা যাতে কম খরচে উন্নত ফসল উৎপাদন করে বেশি লাভ করতে পারে। সে জন্য দুলু নিজে আগে পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে। ভালো ফলাফল হলে সেই ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ বছর সে পরীক্ষামূলক বিট রুট চাষ করে ভালো ফলাফল পেয়েছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম বলেন, ‘নতুন নতুন পদ্ধতি কম খরচে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা চেষ্টা করছে। নেছার সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি একজন উদ্যমী সফল উদ্যোক্তা। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’