রাণীশংকৈলে ভুট্টা চাষে পাল্টে গেছে কৃষকের ভাগ্য

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা চাষ হয়েছে। উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে ভালো দাম থাকায় ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। ভুট্টা চাষে পাল্টে গেছে অনেক কৃষকের ভাগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এ উপজেলার মাটি ভুট্টা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এবং কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা চাষ হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের তথ্য মতে, ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হয়। ধান উৎপাদনে যেখানে প্রচুর সেচ খরচ হয়, সেখানে ভুট্টা চাষে সেচের খরচ তুলনামূলক কম। তাছাড়া সার ও কীটনাশকের ব্যবহারও ভুট্টা চাষে কম লাগে। ধান বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ মণ ফলন হলেও, একই জমিতে ৫০ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত ভুট্টার ফলন পাওয়া যায়।
বাজারে কাঁচা ভুট্টার দাম প্রতি মণ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠলেও শুকনা ভুট্টার দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলার বাচোর ভাংবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, এবার আমি চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন ভালো হলে আগামী বছরও ভুট্টা চাষের পরিকল্পনা আছে।
মুনিষগাঁও এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর সাত বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। এবার তা বাড়িয়ে ১৪ বিঘা করেছি। সব ঠিকঠাক থাকলে ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি।
রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাদশা আলম বলেন, ভুট্টা চাষে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। পাশাপাশি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ভুট্টার উৎপাদন বাড়লেও ধানের উৎপাদন কমবে না। চলতি বছর উপজেলায় রবি মৌসুমে সাত হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে, যা এ অঞ্চলের জন্য নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০২৪ সালে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল।