নির্বাচন ছাড়া নতুন সংবিধান ও মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম

সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া নতুন সংবিধান বা সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়। সেই পুরোনো রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা সত্যিকার অর্থে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারের পরই কেবল নির্বাচন হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এনসিপির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, পুরোনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে রাজপথে নেমেছিল ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও সেই বন্দোবস্ত এখনও রয়ে গেছে কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে। তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
রাজনৈতিক দল গঠনের পর এটাই ছিল নাহিদের বরিশালে প্রথম সফর। পটুয়াখালীর দুমকিতে জুলাই শহীদের এক মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় আজ সেখানে যান তিনি। ফেরার পথে রাতে যোগ দেন বরিশালের এই মতবিনিময় সভায়। সভার শেষের দিকে অবশ্য এনসিপি কর্মীদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় খানিকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে গাড়িতে উঠিয়ে স্থান ত্যাগে সহায়তা করেন এনসিপির কর্মীরা।
পটুয়াখালী ও দুমকীর কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বরিশালে এসে পৌঁছান নাহিদ। অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নাহিদ বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল ন্যূনতম সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে। আমরা বলতে চাই যে ন্যূনতম সংস্কার বলে কিছু নেই। সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই করতে হবে। নির্বাচন করব বলেই রাজনৈতিক দল করেছি। তবে সেই নির্বাচনটি হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন। গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া নতুন সংবিধান বা সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়। যারা পরিবর্তন চায়নি তারা তারা বাংলাদেশ থেকে বিতারিত হয়েছে। পরিবর্তনের সঙ্গে যারা তাল মেলাতে পারবে না তারাও হারিয়ে যাবে। সেই পুরোনো রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা সত্যিকার অর্থে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
এ সময় বরিশাল জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘাঁটি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এই আহ্বায়ক।
কর্মসূচিতে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ, ডা. তাসনিম জারা, আরিফুর রহমান আদিব, ডা. মাহমুদ আলম মিতুসহ অন্য নেতারা।