টানা ৮ দিনের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল (৮ দিন) পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরের মাধ্যমে কোনো ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। ৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি এই পথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা দুই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবে। ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম বন্ধের আওতামুক্ত।
হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহীনুর ইসলাম বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর ৩০ বা ৩১ মার্চ উদযাপিত হবে। এ কারণে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা আটদিন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্ধের বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন হিলি এক্সপোর্টারস অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক শাহীনুর ইসলাম আরও বলেন, ছুটি শেষে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠবে বন্দরের সকল কার্যক্রম। তবে ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকারী ছুটির দিন ব্যতিত অন্য দিনগুলোতে বন্দরের ওয়্যারহাউজ থেকে তাদের পণ্য খালাস বা অন্যত্র পরিবহন করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দুই দেশের যেকোনো উৎসব বা সরকারি ছুটির আওতামুক্ত থাকে। সপ্তাহের ৭দিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড় ৬টা পর্যন্ত এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করেন। ফলে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সঙ্গে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে কোনো সম্পর্ক নাই।