হাতীবান্ধায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন সরাসরি বুড়িমারী থেকে চলাচলের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক ও রেলপথ অবরোধ চলছে। অবরোধে বাধা দিতে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে চলে যান।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ইউএনও শামিম মিয়া জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। তার বিতর্কিত হস্তক্ষেপের কারণেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে রেল বিভাগ তাদের দাবি না মানলে এবং ইউএনওর বিতর্কিত আচরণের কোনো সুষ্ঠু ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এবং জেলার অন্যান্য অংশেও অবরোধ ছড়িয়ে দেবেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কোয়েল বলেন, “ইউএনও শুরু থেকেই একটি পক্ষ নিয়ে আমাদের সঙ্গে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এমনকি দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এখানে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এরপরের বাদানুবাদকালে আমাকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এছাড়াও আমার নেতৃত্ব নেই বলেও উচ্চকণ্ঠে ভাষণ দেন। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়া বলেন, “গত রাতের ঝড়ে এই অঞ্চলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এই অঞ্চলে। এছাড়াও তীব্র যানজটের কারণে অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই এই অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। ওখানে কোনো রকম কথা কাটাকাটি হয়নি।”
প্রসঙ্গত, বুড়িমারী এক্সপ্রেস লালমনিরহাট থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করায় জেলার চার উপজেলার মানুষ সরাসরি ট্রেনটি সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে শুরু থেকে। ফলে আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের মানুষ বুড়িমারী থেকে ট্রেনটি চালানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে।