আট বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত আট বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।
আজ বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চার দিনব্যাপী শিল্পের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাতের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘১৯৭২ সালে আমরা ২৫টি পণ্য রপ্তানি করে মাত্র ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছি। এখন ৭২৯ পণ্য ১৯৬টি দেশে রপ্তানি করে ৩৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছি। এর মধ্যে গত আট বছরেই রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার’, বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
‘২০২১ সালের মধ্যে আমাদের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তৈরি পোশাক খাত বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এর মধ্যে প্যাকেজিং খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
অনুষ্ঠানে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য উৎপাদনের জন্য নগদ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এর আগে সরকারের কাছে নগদ সহায়তা চায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাককেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। তাই ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর। বিজিএপিএমইএর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তার কথা বলা হয়েছে। আইনি কোনো সমস্যা না থাকলে নগদ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ডের সুবিধা পায়, তাদের নগদ সহায়তা দেওয়া হয় না।
অনুষ্ঠানে বিজিএপিএমইএর সভাপতি আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
শিল্পের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাতের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে ২১ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত। চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ২৪টি দেশের ৪০০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
এসব প্রদর্শনীর সম্মিলিতভাবে আয়োজন করেছে জাকারিয়া ট্রেড আ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড ও বিজিএপিএমইএ।