‘রাজনৈতিক কারণে জিএসপি দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র’
রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তাদের দেওয়া ১৬টি শর্ত আমরা এরই মধ্যে পূরণ করেছি। তারপরও জিএসপি না দিলে আমাদের পোশাক খাতের কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা বীরের জাতি। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডার্জা বাভদাজ কুরেট সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রী। তবে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা তিনি জানাননি।
ওই সময় জিএসপি সুবিধা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যেসব কারণ দেখিয়ে তারা আমাদের দেওয়া জিএসপি স্থগিত করেছিল আমরা সেগুলো সব পূরণ করেছি। আমাদের চেয়েও পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের অবস্থা বেশি খারাপ। অথচ আমেরিকা তাদের জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। আফ্রিকার এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে দাঙ্গা সংঘাত লেগেই রয়েছে তাদেরও জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানকার পোশাক শ্রমিকদের অবস্থা ভালো রয়েছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমেরিকা ছাড়া অন্য দেশগুলো আমাদের পোশাক রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি ও ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা দিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে টিকফা চুক্তি রয়েছে আশা করছি এই চুক্তির আওতায় তারা আমাদের জিএসপি সুবিধা দেবে।’
জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য সরকার রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা আর কোনো উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে নই। যদি তারা আমাদের জিএসপি সুবিধা না দেয় তাহলে আমাদের পোশাক খাতে তার বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না। অথচ শ্রমিকদের নিয়ে কথা বলছে। কয়েকজন শ্রমিক আছেন যারা পোশাক কারখানায় কাজ করে না। কিন্তু পোশাক খাতের ক্ষতি করে চলছেন। শ্রমিকদের স্বার্থহানি ঘটছে এ ধরনের অভিযোগ করে তারাই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে চিঠি দিয়েছিল।’
এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গী কি?-এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো বিশেষ দেশের দিকে নজর না দিয়ে বাজার বহুমুখিকরণের দিকে নজর দিতে বলেছেন। আমাদের অগ্রযাত্রাকে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাব।’