চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে। আবার বেশকিছু ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন সমস্যা বন্দরে পণ্য ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এরই ধারায় দেশের নয়টি ব্যাংকের চেক, পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের মালিকানা থাকা ছয় ব্যাংক আছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন। চিঠিতে, সেবা বন্ধের নিষেধাজ্ঞার ব্যাংকগুলো হলো- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে নয়টি ব্যাংকের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। এসব ব্যাংক থেকে পূর্বের মেয়াদি আমানতসহ বিভিন্ন আমানত উত্তোলন করতে পারছে না বন্দর। ফলে এসব ব্যাংকে নতুন করে সব ধরনের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ৯ ব্যাংকের গ্রাহকরা গত দুই সপ্তাহ ধরে অনলাইনে শুল্ক কর পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সেই সঙ্গে এসব ব্যাংকের পে অর্ডারও ফিরিয়ে দেয় অনেক শিপিং এজেন্ট। এমনকি অন্য ব্যাংকে ফান্ড স্থানান্তর করতে অসুবিধায় পড়েছে। তাই বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।