পেঁপের ‘সেঞ্চুরি’, বাড়তি দাম অন্য সবজিরও

পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবজি আর পাকা অবস্থায় রসালো ফল। ভেষজগুণ ও কিছুটা কম দামের করণে এই সবজি সব শ্রেণির মানুষের পছন্দ। কিন্তু সেই কাঁচা পেঁপের দামে এখন যেন আগুন লেগেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁপের দাম।
ঈদের আগে যেখানে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হতো ৩০ টাকায়, এখন সেই পেঁপের দাম কোনো কোনো বাজারে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো বছরেই পেঁপের দাম বাড়ে ও কমে। তবে কমা ও বাড়ার পার্থক্য খুব বেশি না। কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। কিন্তু এবার পেঁপের দাম রেকর্ড গড়েছে। এখন ভালো মানের কাঁচা পেঁপে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কাপ্তানবাজার, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে কাঁচা পেঁপের সঙ্কট দেখা যায়। দুই-চারটি দোকানে দেখা মেলে পেঁপের। তাও দামে যেন আগুন।
ঈদের আগে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হচ্ছে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও এখন রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা।

কাপ্তানবাজারের সবজি বিক্রেতা আফসার বেপারি বলেন, বাজারে পেঁপের সরবরাহ কম। পাইকারি বাজার থেকে পেঁপে অনেক বেশি দামে কিনতে হয়েছে। সামান্য লাভ করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজের পেঁপে পাওয়া যায়। সাইজ অনুসারে দামও ভিন্ন। আমার এখানে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। অন্য দোকানে কম দামেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেগুলো এত ফ্রেশ ও বড় সাইজের না।
এখন পেঁপের মৌসুম না জানিয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, বাজারের চাহিদার তুলনায় পেঁপের সরবরাহ কম। পাইকারি বাজার থেকে এখন অনেক বেশি দামে পেঁপে কিনতে হয়। সেখান থেকে সামান্য লাভে প্রতি কেজি ৯০ টাকা করে বিক্রি করছি।
অন্য সব সবজির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পেঁপে ছাড়া অন্য সবজির দাম বেশি পরিবর্তন হয়নি। তবে বেগুনের দাম এখন বাড়তি। প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা, পটল, ঢেঁড়শ, কহি, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, বিট, শশা, লতিসহ প্রায় সবজির দামই কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাউ, ফুলকপি, পাতাকপি সাইজ অনুসারে চড়া দাম বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো ও আলু, প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মাঝারি লাউ প্রতিটি ৭০ টাকা। বড় সাইজের লাউ প্রতিটি ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও পাতাকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। চাল কুমড়া ৭০ টাকার ওপরে। লেবুর দাম আগের মতো হালিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে ছোট সাইজের লেবু দাম কিছু কমে বিক্রি হচ্ছে।