পাসের হার বেড়েছে মাদ্রাসা, কারিগরি বোর্ডে
গত বছরের তুলনায় এ বছর মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে। তবে কমেছে সাধারণ আট শিক্ষা বোর্ডে। গত বছরের তুলনায় জিপিএ ৫ পাওয়ার সংখ্যাও কমেছে এ বছর।
আজ শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন।
এ বছর মাদ্রাসা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯০.২০ ভাগ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩.০১ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল যথাক্রমে ৮৯.২৫ ও ৮১.৯৭ ভাগ।
১০ বোর্ডের মধ্যে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৬.৭২ ভাগ, গতবার যা ছিল ৯২.৬৭ ভাগ। এ ছাড়া গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৯১.৩৪ ভাগ। আর এ বছর তা কমে হয়েছে ৮৭.০৪ ভাগ।
এ বছর মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর যে সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ ।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ডে ৯৩.৯৪, চট্টগ্রামে ৯১.৪০, বরিশালে ৯০.৬৬, কুমিল্লায় ৮৯.৯২, দিনাজপুরে ৯৩.২৬, সিলেট বোর্ডে ৮৯.২৩ ভাগ পাসের হার ছিল। এ বছর চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২.৭৭, বরিশাল ৮৪.৩৭, কুমিল্লায় ৮৪.২২, দিনাজপুরে ৮৫.৫০ ও সিলেটে ৮১.৮২ ভাগ পাস করেছে।
এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার ৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শত ভাগ পাস করেছে।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ফল জানতে পারবে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে তা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। হরতালে সব (মোট ১৬ দিন) পরীক্ষাই পেছানো হয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়েছে। ৩০ মার্চ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয়েছিল ৩ এপ্রিল।