অফিসে প্রেম করছেন? ৪ বিষয় খেয়াল রাখুন
সম্প্রতি করপোরেট বিশ্বে বেশ আলোচিত বিষয় ছিল ফাস্টফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টিভ ইস্টারব্রোকের প্রেমের ঘটনা। চাউর হয়েছিল, ব্রিটিশ এই সিইও অফিসের একজন কনিষ্ঠ সহকর্মীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে প্রেম করা যাবে না, এমন নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন ইস্টারব্রোক।
অনেকে বলেন, প্রেম শাশ্বত। আর কখন কার প্রেমে পড়বেন আপনি, তাও আগে থেকে বলা-কওয়া মুশকিল। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেগে গা ভাসানোর পরিবর্তে কিছুটা তো বিচক্ষণ হতেই হবে। না হলে এর প্রভাব পড়বে কর্মক্ষেত্রে। অফিসে প্রেম করার ক্ষেত্রে খেয়াল করা জরুরি, এমন কিছু বিষয় জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনা।
১. প্রতিষ্ঠানের নীতি জানুন
এ ধরনের প্রেমের ব্যাপারে কিছু কিছু অফিস বেশ সদয়ই হয়। আবার কিছু অফিস বেশ কড়া আচরণ করে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠানের নীতি সম্পর্কে জেনে নিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসে প্রেম না করার নিয়মটি থাকে জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের ক্ষেত্রে।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তবে বিষয়টি তাঁরা গোপন রাখবেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
২. বিচক্ষণ হোন
এমনকি অফিস যদি এ ধরনের প্রেমের বিষয়ে স্পষ্টভাবে নিষেধ না-ও করে, তবুও আপনার উচিত বিচক্ষণের মতো আচরণ করা। এ ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যেই পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন। কেবল নিজেদের মধ্যেই সময় না কাটিয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও সময় কাটান। এমন কোনো আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন যেটি দৃষ্টিকটু হয়।
৩. উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে প্রেম নয়
অনেকে অফিসের জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে প্রেমকে উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এতে অনেক শত্রুও তৈরি হয়ে যেতে পারে আপনার। তাই, যা করবেন, একটু ভেবে-চিন্তে।
৪. আইন জানুন
নিশ্চিত হোন যে সম্পর্কটিতে দুজনেরই সম্মতি রয়েছে। বিশেষ করে যখন এতে কনিষ্ঠ সহকর্মী যুক্ত থাকবে। আর আপনার আইনি অধিকার সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে জেনে নিন, যেন অফিস ব্যবস্থাপকদের হাতে আপত্তিকর পরিস্থিতির শিকার হলে বিষয়টিকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেন।