বিবাহিত জীবন রাঙাতে চার অভ্যাস
ভালোবাসা, সময় ও প্রয়াস—এই তিনের সমন্বয়ে বিবাহিত জীবন। অবশ্য প্রতিটি সম্পর্কের ভিতই এগুলো। যদিও এই পথ কণ্টকহীন নয়। সুখী, দীর্ঘ সম্পর্ক পেতে হলে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হওয়া আবশ্যক। আর তা থাকলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালোবাসা বাড়বে। কিছু মুহূর্ত ও অভ্যাস, যেগুলোকে খুব সাধারণ মনে হবে হয়তো, কিন্তু সেগুলোই একসময় বড় আকার ধারণ করে। আর সঙ্গী যদি অপরজনের সেই আবেগিক মুহূর্ত ধরতে না পারে, তবে বিষিয়ে উঠতে পারে মন।
বিবাহিত জীবন রাঙাতে যে অভ্যাসগুলো কার্যকর, তা ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। একঝলকে চার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলো বৈবাহিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করবে—
যোগাযোগ
বৈবাহিক জীবনে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সবকিছু সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা জরুরি। এই যেমন কেমন কাটল সারা দিন, অফিসের কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ইত্যাদি। সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধু হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভালো ও মন্দ মুহূর্তগুলোও শেয়ার করা দরকার। এই অন্তরঙ্গ আলাপ সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে, সঙ্গীর ভেতর আস্থা তৈরি হবে। ফলে সম্পর্ক হবে সুস্থ ও সুখের।
অন্তরঙ্গতায় গুরুত্বারোপ
মন খুলে আলাপ করুন। দুজনের শারীরিক ও আবেগিক দিকগুলো নিয়ে কথা বলুন। নিশ্চিত করুন, সঙ্গীর কাছে আপনি নিরাপদ। আলোচনা করুন সঙ্গী কী চায় সে বিষয়ে, আপনিও যে সেটা ভালো উপলব্ধি করতে পারবেন, সেটাও বোঝান। আবেগিক ও শারীরিক উভয় বন্ধনের জন্য যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ। এতে সঙ্গীর সঙ্গে সংযোগ বাড়ে। প্রত্যেকের ভিন্ন প্রত্যাশা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ—অন্যকে ভালোভাবে বোঝা এবং উদযাপন করা।
সুশ্রোতা হোন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলাপকালে একজন যখন কথা বলে, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। সঙ্গী যেন বুঝতে পারে, তার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ রয়েছে। সঙ্গী কী চায়, তার সমস্যা জানার চেষ্টা করুন। কথার মাঝে বাধা দেবেন না। এমন কিছু বলবেন না, যাতে সঙ্গী মনে করে তাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
একে অন্যকে ধন্যবাদ জানান
যেকোনো সম্পর্কে প্রশংসার অভাব ভয়াবহ হতে পারে। সঙ্গীকে কৃতজ্ঞতা জানানো সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সঙ্গীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। দেখবেন সঙ্গী খুশি হবে, তার ভেতরের ভালোবাসা আরো গভীর হবে। ছোটখাটো কিছু জিনিস, যেমন বিশেষ খাবার, গৃহস্থালির কাজের দায়িত্ব নেওয়া অথবা বাইরে রাতের খাবার খেতে নেওয়া—এসব সম্পর্ক মজবুত করতে বেশ কাজে দেয়।
মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে যদি যত্ন না থাকে আর সঙ্গী যদি সেটা অনুভব না করতে পারে, তবে তিক্ততা আসবেই। তাই সহনশীল হোন আর সঙ্গীর দিকে খেয়াল রাখুন।