প্রতারক স্বামীকে শাস্তি দিতে গবেষণা
বিয়ের পর সংসার যে সুখের হবেই সেটা কেউ হলফ করে বলতে পারে না। ভালোবাসার মানুষ চোখের পলকে পাল্টে যেতে পারে, জড়িয়ে পড়তে পার অন্য কোনো সম্পর্কে। এই ধরনের স্বামীদের মানসিকভাবে শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।আইএএনএস প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাটের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টিন এল. মুন্স বলেন, নিজের পৌরুষত্বকে জাহির করতে বা এই পৌরুষত্ব নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে বলেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়। ক্রিস্টিন বলেন, অনেক সময় স্বামীরা নিজেদের বেশি উপার্জনক্ষম স্ত্রীর ওপর হিংসা করেও অন্য নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। কারণ এই স্বামীরা স্ত্রীর কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করতে চায়।
গবেষণায় বলা হয়, পুরুষ এবং নারী উভয়েই তাদের সঙ্গীকে ঠকাতে পারে তাদের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভর থাকার পরও। তবে এদের মধ্যে বড় পার্থক্য আছে।
কিছুকাল আগেও নারীরা অর্থনৈতিকভাবে পরুষের ওপর নির্ভরশীল ছিল।গবেষণায় বলা হয়, স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভর থাকার পরও বেশির ভাগ পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে পারে।
গবেষকরা আরো বলেন, নারী ও পুরুষ যারা উপার্জন করে তাদের আচরণ ভিন্ন হয়। নারীর ক্ষেত্রে যারা পরিবারের জন্য উপার্জন করে, তাদের সঙ্গীকে ঠকানোর আশঙ্কা কম থাকে। দেখা যায়, যেসব নারী প্রাথমিক উপার্জনকারী তারা প্রায়ই স্বামীর তুলনায় নিজেদের সাফল্যকে ছোট করে। এ ছাড়া নিজেদের বাইরের সাফল্য নিয়ে বেশি কথা না বলে ঘরের কাজের কথাই বেশি বলে। এই নারীরা আবেগি, কায়িকশ্রমের কথা বলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কমায় এবং তাদের স্বামীর পৌরুষকে বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করে। এটি সম্পর্ককে অক্ষত রাখতে কাজ করে- এমনটাই ভাবে এ ধরনের নারীরা।
আবার যেসব পুরুষ পুরোপুরি অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল তারাও নারীকে ঠকায়। বিশেষ করে যারা তরুণ, যৌন বিষয়ে তাদের পছন্দ একাধিক সঙ্গী।
আরেকধরনের পুরুষ, যারা নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল নয়, তারা ভালো করেই জানে স্ত্রী তার উপর নির্ভরশীল। যত সমস্যাই হোক স্ত্রী তাকে ছেড়ে যাবে না। আর এ কারণেই এ ধরনের পুরুষ প্রতারণার কাজটি করে নারীর অর্থনৈতিক নির্ভরতার সুযোগ নেয়।
গবেষকরা বলেন, আপনি হয়তো ভাবছেন এসব প্রতারক স্বামীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করবেন।কিন্তু এমনটি না করে, পুরুষকে শাস্তি বা শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরপরুষগামী হতে পারেন। এটা অনেক বেশি কাজে দেয়। আমেরিকান সোসিওলোজিক্যাল রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এমন উপদেশই দেওয়া হয়। অবশ্য এক অসততাকে ঠিক করতে নিজে অসৎ হবেন কি না সেটাও ভেবে দেখার অবকাশ আছে।